ছবির-মেয়ে
[ ” শান্ত হাতে আদর করার একটি দুটি ছল খুঁজে দাও…”—- জয় ]
ঝগড়া আছে। ছাড়ব না ও ছবির-মেয়ে। ঝুঁজকো বেলার রোদ কেঁদেছে। তুমুল তুমুল। আড়ি সবার।
পৌঁছে দিচ্ছে নদী-পাহাড়…
পাখির মতো আহার ছিল! ‘গরমভাতে মুসুরডাল
আর গন্ধলেবু..’ বলতে বলতে এইমাত্র উড়াল দিল
পোষ্য শালিক। মাথার কাঁকই যত্নে রেখে বাসাতে
তার। বসতে হবে মুখোমুখি–চোখের জলের ভীষণ আড়ি…
বাবানামা
[ ‘চাকর রাখো জী—মীরার ভজন ]
নামল বর্ষা আজ। সদ্য নূতন। ‘মাঠকোঠা আজও!’
দু-বিনুনি।বুকেচাপা ক্যাম্বিসব্যাগ।প্রতিটিপদক্ষেপে
. মেঘ তুমি বাজো…
(মেঘ চমকাল…)
মিথ্যে ঘরবার।প্রতিটি বিদ্যুৎহেনে ডাকনাম খোঁজে
কে কাকে টেক্সটকরে:’একা-রাস্তা ফিরছবাড়িতে?’
একপা সিঁড়িতে ওঠা, তিনধাপ নেমে চোখ বোজে
প্রথম বর্ষণে ভেজে নদী-কেয়াবন
দূর থেকে ভেসে আসছে —মীরার ভজন…
টাউনহল
এসো টাউনহল। এসো ভালোবাসাবাসি। এসপার ওসপার। রাত থাকতে থাকতেই। রিক্সা-পরিক্রমা। ‘মানসী’-র মতো প্রেমের মলাটে মোড়া
বেনারসি। থাকলে বেশ হত কবি
গুরু : তোমার ছবি এঁকেছি আজও বাসন্তী রং দিয়া…খোঁপার ফুলে একটি মধুলোভী..
এই লাইনটি মুখে নিয়ে ,হামাগুড়ি দিতে দিতে উঠে
যাচ্ছি আমি। বিষহীন পিঁপড়ে এক। কি সুন্দর !
কুচযুগশোভিত। পুষ্প…দাও করতলে। তরঙ্গ, মোহ
জল,খাদ্য- বস্ত্রহীন বক্ষক্ষীর…বিষহুল
ওই দেখা দিল–রসিক শিশুটি, কচি আঙুল–
ধরো। বলো ঠোঁট নেড়ে : ‘ভালোবাসি-ভালোবাসা..
৩রা শ্রাবণ
ঠিক ? আজ শ্রাবণের তিন!
তবে প্লাবনের দিন আজ
মেঘে মেঘে মোম গলে পড়ে
আমার-তোমার গৃহ ঘরে
কদমের রেণু গুঁড়ো গুঁড়ো
নগ্ন হয়ে বাজে–নূপুরও
প্লাবনে শ্রাবণে নিয়েছিলে বুকে
নিঃসাড়ে খোলো তারও নিলাজ…
আষাঢ়স্য…
আষাঢ়ের শেষ দিন
. শ্রাবণ কতটা খেলবে
কাশফুল? কত দূরে গো
তুমি কী আসবে
আসবে না কেন, আচমকা ছুটি নিয়ে –সেবাসদনের, পেঁজাতুলো নীলাকাশ…
দোলনা
ধরো এই খুব আনন্দ দিন। ধরো এই জ্যোৎস্নায় : ‘তুমি সারারাত ?’
না হয় উঠোনে বকুলবাগান…
ভালোবেসে গাছ টাঙিয়ে রেখেছে
কে যে ডান দিকে,কে-ইবা বাঁদিকের ধরেছি হাত!

দুরন্ত লেখা সব চন্দ্রনাথ দা
খুব খুব ভালো লাগলো..
দাদাভাই….কলমকে কুর্নিশ
প্রীতি নিও ভাই।
সকলকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা।